সদর উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বুধবার দুপুরে এই অভিযোগ করেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে।
অভিযোগ বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা পারভিন আক্তার বলেন, “পয়লা জানুয়ারি বই দেওয়ার সময় আমি নিজেই উপস্থিত ছিলাম। এরপর আর কোনো খোঁজখবর নেওয়া হয়নি।”
তার বিরুদ্ধে দৈনিকই দেরিতে অফিসে আসারও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ মেনে তিনি বলেন, “পঞ্চগড়ে আমার স্বামীর বাড়ি। সেখান থেকে এসে অফিসে যোগ দিতে একটু-আধটু দেরি হলে কোনো সমস্যা নেই।”
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আক্তার বলেন, “শিক্ষা কর্মকর্তা পারভিন আক্তারকে অনেকবার বলা হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
“আমি ঢাকায় আছি। রোববার ফিরে আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বৈরাগীহাট বালিকা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির কৃষি, আনন্দপাঠ, শারীরিক শিক্ষা, সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি দ্বিতীয়, অষ্টম শ্রেণির ইসলাম ধর্ম বই দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিরণচন্দ্র রায়।
পাটিয়াডাঙ্গী উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিরাজুম মনির বলেন, “১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫টি বইয়ের মধ্যে ৭টি পেয়েছি। বাকি ৮টি এখনও পাইনি।”
ভাউলারহাট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পবারুর ইসলামও সব বই না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে বই দেওয়া হয়।