তালতলী থানার এএসআই সাইদুল ইসলাম জানান, রোববার সন্ধ্যায় তালতলীর গেন্ডামারা গ্রামে ‘২৭তম’ স্ত্রীর বাবার বাড়ি থেকে ৪৬ বছর বয়সী ইয়াসিন ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইয়াসিন খুলনার রূপসা ঘাট এলাকার ময়নুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে বরগুনার আমতলীর আদালত পরিদর্শক দুলাল মিয়া জানান।
তিনি বলেন, শিউলী আক্তার তানিয়া নামে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের এক নারী গতবছর ২৯ সেপ্টেম্বর খুলনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে বিচারক ইয়াসিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
ওই পরোয়ানার ভিত্তিতেই বরগুনার পুলিশ ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করে বলে পরিদর্শক দুলাল জানান।
তালতলী থানার ওসি কমলেশ হালদার জানান, ইয়াসিন তথ্য গোপন করে ২৮ বার বিয়ে করেছেন বলে শিউলী আক্তার তানিয়া অভিযোগ করেছেন। তবে ইয়াসিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কেবল দুটো বিয়ের কথা স্বীকার করছেন।
শিউলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১১ সালে তার সঙ্গে ইয়াসিনের বিয়ে হয়। একটি মেয়ে হওয়ার পর তিনি জানতে পারেন, তিনি ইয়াসিনের ২৫তম স্ত্রী।
ওই ঘটনা জানার পর খোঁজ-খবর নিয়ে ইয়াসিনের ১৭ জন স্ত্রীর ঠিকানা যোগাড় করতে পেরেছেন বলে দাবি করেন শিউলি।
তিনি বলেন, ইয়াসিনের দুই নম্বর স্ত্রীর ঘরে দুই মেয়ে, তিন নম্বর স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে, সাত নম্বর স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে, ২৪ নম্বর স্ত্রীর ঘরে এক মেয়ে রয়েছে।
শিউলী বলেন, তাকে বিয়ে করার পর ইয়াসিন কাজের অজুহাতে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে যৌতুকের জন্য তাকে মারধর করতে শুরু করেন।
“পরে সে আমাকে না জানিয়ে রাজাপুর সদর উপজেলার মাটিভাঙ্গা এলাকায় এক মেয়েকে বিয়ে করে। বিয়ের কিছুদিন পর ওই মেয়ে ইয়াসিনের সব ঘটনা জানতে পেরে তাকে তালাক দেয়।
“পরে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি চট্টগ্রামে বসবাসরত তালতলী এলাকার এক ব্যক্তির মেয়েকে সে বিয়ে করে। কিন্তু ওই মেয়েকেও তুলে না নিয়ে বাপের বাড়িতে রেখে দেয় এবং পরে খুলনার এক গার্মেন্ট কর্মীকে বিয়ে করে।”
শিউলী তার স্বামীর ১৭ ‘স্ত্রীর’ নাম ঠিকানা দিলেও সেসব তথ্য সঠিক কি না তা পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি।