লিটন হত্যা: ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে গ্রেপ্তারের খবর দিয়ে পুলিশ বলেছে, তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপন করে ছিলেন।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2017, 09:29 AM
Updated : 23 Jan 2017, 09:32 AM

তবে পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তাকে ১০ দিন আগেই ধরে নিয়েছিল।

গ্রেপ্তার রেজাউল ইসলাম লিটন ওরফে ডিশ লিটন (৪০) সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও রামভদ্র গ্রামের বাসিন্দা।

রেজাউলের মা আম্বিয়া খাতুন রোববার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, গত ১৪ জানুয়ারি উপজেলার ময়েজ মিয়ার হাট এলাকা থেকে সুন্দরগঞ্জ থানার এসআই ইজার আলী ও এসআই গোলাম মোস্তফা অজ্ঞাত কারণে রেজাউলকে আটক করে নিয়ে যান।

“পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। সেই থেকে রেজাউল নিখোঁজ ছিলেন।”

পুলিশ এ ঘটনাকে নাটক বলে অভিহিত করেছে।

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান বলছেন, “বামনডাঙ্গায় চার পুলিশ হত্যাসহ একাধিক নাশকতা মামলার পালাতক আসামি জামায়াত ইসলামীর সক্রিয় কর্মী রেজাউলকে গ্রেপ্তারের জন্য এসআই ইজার আলী সেদিন ধাওয়া করেন। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি।

“রেজাউল গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন। তার পরিবারের ‘এই সংবাদ সম্মেলন’ একটি নাটক মাত্র।”

রেজাউলকে গ্রেপ্তার বিষয়ে ওসি আতিয়ার বলেন, “তাকে সোমবার ভোরে উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা এলাকা থেকে এমপি লিটন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানা হাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে গাইবান্ধা আদালতে পাঠানো হবে।”

গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জের শাহবাজ গ্রামে নিজ বাড়িতে গুলিতে আহত হন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে এর দেড় ঘণ্টা পরে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে ১ ডিসেম্বর অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

মামলায় এ পর্যন্ত শতাধিক সন্দেহভাজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রেজাউলসহ ২৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হল। তাদের মধ্যে ১২ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।