গাইবান্ধায় ‘নিখোঁজ’ আরেকজনের সন্ধান চায় পরিবার

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সাংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যার পর এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে ধরে নিলেও পুলিশ এখনও আদালতে হাজির করেনি বলে দাবি করেছে পরিবার।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2017, 03:33 PM
Updated : 22 Jan 2017, 03:33 PM

তবে রেজাউল ইসলাম লিটন নামে ওই জনপ্রতিনিধিকে আটকের খবর নাকচ করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান।

রেজাউল উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য এবং কেবল ব্যবসায়ী। তিনি জামায়াতে ইসলামীর ‘সক্রিয় সদস্যর’ বলে পুলিশ জানিয়েছে।

রোববার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রেজাউলের মা আম্বিয়া খাতুন পুলিশের বিরুদ্ধে তার ছেলেকে ধরে নেওয়ার অভিযোগ করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, তারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলেও পুলিশ তা নেয়নি।

এদিকে এমপি লিটন হত্যার পর পার্শ্ববর্তী সাদুল্লাপুর উপজেলায় একদিনের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ ও যুবদলের চার নেতা নিখোঁজ হন।

পরবর্তীতে ১০ দিন পর তারা ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর তাদের মধ্যে দুজন তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যায় বলে জানালেও কারা নিয়েছিল তা জানাতে পারেননি।

সংবাদ সম্মেলনে আম্বিয়া খাতুন বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি উপজেলার ময়েজ মিয়ার হাট এলাকা থেকে সুন্দরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইজার আলী ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা কোনো মামলা বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই রেজাউলকে আটক করে নিয়ে যায়।

“পরে এ ব্যাপারে স্বজনরা থানায় বার বার যোগাযোগ করলেও এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।”

তিনি বলেন, “আমার ছেলের বিরুদ্ধে যদি নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাকে আদালতে হাজির করা হোক।”

এ ব্যাপারে তিনি থানা ও জেলা পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেজাউলের স্ত্রী লাভলী বেগম, বোন মনি বেগম ও হাসনাহেনা।

ওসি আতিয়ার রহমান বলেন, বামনডাঙ্গায় চার পুলিশ হত্যাসহ একাধিক নাশকতা মামলার আসামি রেজাউল।

“জামায়াতের এ সক্রিয় কর্মীকে গ্রেপ্তার করতে এসআই ইজার আলী সেদিন ধাওয়া করেছিল। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।”

গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে থেকে তার পরিবারের এই সংবাদ সম্মেলনকে ‘নাটক’ আখ্যাইয়িত করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।