অনুমোদন না থাকা এবং ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রোববার বেলা ১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি এবং সার্বিক) মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ নোটিস প্রতিষ্ঠানের গেইটে টাঙিয়ে স্কুলটি বন্ধ করে দেন।
মোনায়েম খানের মেয়ে নাসরিন মোনায়েম খান ১৯৯৬ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। স্কুলটিতে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী পূর্ব পাকিস্তানের এ গভর্নরকে ‘শহীদ’ আখ্যায়িত করায় ময়মনসিংহে তোলপাড় শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর স্কুলের সাইন বোর্ডে চাঁদ তারা ছবি দিয়ে লেখা হয় ‘শহীদ’ গভর্নর আব্দুল মোনায়েম খান।
স্কুলের বিভিন্ন দাপ্তরিকসহ সকল কাগজপত্রে মোনায়েম খানকে ‘শহীদ’ আখ্যায়িত করা হয়। তাছাড়া স্কুলটিতে কখনই স্বাধীনতা, বিজয় দিবসসহ কোনো দিবসই পালন করা হতো না।
এ নিয়ে সোচ্চার হন নব্বইয়ের গণ আন্দোলনের সাবেক ছাত্র নেতারা।
জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান বলেন, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। তাছাড়া এ প্রতিষ্ঠানটির কোনো অনুমোদনও নেই।
“শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের নির্দেশনায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
“পরবর্তীতে আবার তারা ইতিহাস বিকৃতি করার ধৃষ্টতা দেখায়। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের মাধ্যমে বহু দিনের আন্দোলন সংগ্রাম সফল হয়েছে।”
নগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সদস্য সচিব সেলিম সরকার বলেন, “ইতিহাস বিকৃতির দায়ে অনেক আগেই এ স্কুলটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন ছিল। দীর্ঘদিন পরে হলেও প্রশাসন বিষয়টি আমলে নিয়েছে। সে জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।”
তবে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ না করে পরিবর্তনের মাধ্যমে চালু রাখার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
স্কুলটির অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মানিয়া রহমান দিশা ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রাবন্তী পোদ্দার বলেন, প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ায় পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ না করে নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে চালু রাখা হোক।
তবে শিক্ষার্থীরা অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সহযোগিতা করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।