ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়ে যারা মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছেন তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক।

শনিবার নারায়ণগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা যাচাইবাছাই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রত্যেক শনিবার এ কার্যক্রম চলবে। আগামী পাঁচ সপ্তাহ এই যাচাইবাছাই চলবে।

তিনি বলেন, আইন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তালিকা পাওয়ার পর আইনানুগভাবে তাদের সম্পদ সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হবে।

যাতে কেউ অসত্য তথ্য না দেয় তার জন্য এ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানোর জন্য যারা মিথ্যা স্বাক্ষী দিবেন ওই সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা এক থেকে তিন বছর বন্ধ থাকবে বলেও মন্ত্রী জানান।

সকালে বন্দর উপজেলার গোকুলদাসের বাগ এলাকায় আমিজউদ্দিন এতিমখানার ছাত্রদের জন্য নির্মিতব্য তিন তলা হলের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী।   

মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে কোনো পেপারস লাগবে না। পেপারস ম্যান্ডেটনি নয়। যদি সহযোদ্ধারা সাক্ষ্য দেন এবং বলেন যে তিনি ট্রেনিং নিয়েছেন এবং যুদ্ধ করেছেন, তাহলে এটাই যথেষ্ট।

মুক্তিযুদ্ধ বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। কেউ একা একা যুদ্ধ করেনি মন্তব্য করে তিনি বলেন, যে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে তা অনুসরণ করে যাচাইবাছাই হলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আসার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও যদি কোথাও ভুল হয় তাহলে সেটা বাতিল করে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

“যেসব আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে এখন অভিযোগ উঠছে তারা হাল আমলের নেতা। বঙ্গবন্ধুর আমলের নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ শুনি নাই। হাল আমলে ভালর মধ্যে মন্দ লোক ঢুকে গেছে। মন্দরা ধিকৃত হবেন।”

রোটারিয়ান এম জামালউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রোটারিয়ান মুহাম্মদ আইয়ুব, সানড্রা ম্যাককারসি, তার নাতনী হান্না রোজ, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হাবিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মতিয়ার রহমান প্রমুখ।