মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে বলে শনিবার রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ইফতে খায়ের আলম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাবি ছাত্র লিপু হত্যা মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর সংক্রান্ত একটি আদেশ বৃহস্পতিবার আরএমপি সদর দপ্তরে পৌঁছেছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মামলার নথি হস্তান্তরের পর সিআইডি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করবে বলে জানান ইফতে খায়ের।
গত বছরের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের নর্দমা থেকে লিপুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লিপুর রুমমেট মনিরুল ইসলামকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় লিপুর চাচা বশির মোল্লা বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে লিপু হত্যা মামলায় মনিরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
লিপু হত্যা মামলাটি প্রথম তদন্ত করেন মতিহার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অশোক চৌহান। তিনি বদলি হওয়ার পর মামলাটি তদন্ত করেন পরিদর্শক মাহাবুব আলম।
মাহাবুব বলেন, শুক্রবার পুলিশ সদর দপ্তরের ক্রাইম সেল থেকে এ সংক্রান্ত আদেশের একটি চিঠি পেয়েছেন। মামলার নথিপত্র আপডেট করে সিআইডির কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
এজন্য দুই-তিন দিন সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে তদন্তের ধীর গতিতে হতাশ লিপুর পরিবার।
তার বাবা বদর উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশের কাছে ফোন করলে কয়, আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা আগাচ্ছি। এ কইয়ে ফোন কেইটে দেয়। আমরা ফোন করি, তারা ফোন কেইটে দেয়। ওরা যে কী চেষ্টা চালাচ্ছে, কীভাবে আগাচ্ছে সেটা তারাই জানে।
“মাসখানেক আগে ফোন করলাম। আবার সেদিন র্যাব থেকে ফোন করল। বলল, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি, অপরাধীদের খুঁজে বের করব। এই পর্যন্তই।”
এছাড়া লিপু হত্যার তিন মাসেও মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।