বৃহস্পতিবার বিকালে জকিগঞ্জ বিচারিক আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম খায়রুল আমিনের কাছে তিনি এ জবানবন্দি দেন বলে জানান জকিগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, “জবানবন্দিতে ঝুমার ওপর হামলার কথা স্বীকার করেছেন বাহার। পরে তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
এরআগে সকাল ৮টার দিকে উপজেলার মির্জার চক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বাহার উদ্দিন (২২) উপজেলার রসুলপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে। এ ঘটনায় বাহারের বড় ভাই নাসির উদ্দিনকেও (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি রিমান্ডে রয়েছেন।
ইছামতীডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ঝুমা আক্তার রোববার সকালে বাড়ি থেকেবের হয়ে গ্রামের পথে হামলার শিকার হন। তিনি একই উপজেলার রসুলপুর গ্রামেরমুসলিম উদ্দিনের মেয়ে।
হামলার ঘটনায় সোমবার রাতে ঝুমার মা করিমা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলায় ছুরিকাঘাতকারী হিসেবেবাহার উদ্দিনকে প্রধানসহ আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান ওসি হাবিবুর।
ঝুমারমায়ের অভিযোগ, বাহার তিন বছর ধরে ঝুমাকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। সম্প্রতিবিয়ের প্রস্তাব দিলে ঝুমা রাজি না হওয়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটায়।
এদিকে ঝুমাকে এখনও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক মাসুদ হোসেন বলেন,ঝুমার অবস্থা উন্নতির দিকে। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত।