বুধবার লক্ষ্মীপুর মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. হালিমুল্লাহ চৌধুরী আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
এর মধ্যে তিনজনকে পাঁচ বছর, তিনজনকে এক বছর ও চারজনকে একমাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানান পিপি জসিম উদ্দিন।
পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস, পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক এহতেশাম হায়দার বাপ্পি ও জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম বাপ্পী।
এক বছর করে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সদস্য সজিব, মিরাজ ও জুয়েল।
তাছাড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল, সদস্য মো. মানিক ও রকি এবং সাবেক নেতা রুপমকে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানান পিপি।
আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরও দুই আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।
এদের মধ্যে এক মাস করে দণ্ড পাওয়া চারজনকে জামিন দিয়ে আদালত বাকিদের কারাগারে পাঠিয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলার নথির বরাত দিয়ে পিপি জানান, ২০১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে আসামিরা জেলা জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন যুগ্ম-সম্পাদক আশরাফুল আলমের উপর লক্ষ্মীপুর আলিয়া মাদ্রাসার সামনের রাস্তায় হামলা চালায়। এ ঘটনায় পরের দিন আশরাফের বাবা বদরুল আলম বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ১২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
এদিরে রায় ঘোষণার পর জেলা ছাত্রলীগ তাৎক্ষণিকভাবে আদালত এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে তারা লক্ষ্মীপুর-রায়পুর রোড অবরোধ করে। এক ঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।