মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের জালিয়া জলমহালে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে বলে দিরাই থানার ওসি আব্দুল জলিল জানান।
নিহতরা হলেন- দিরাই ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের সানাউল্লার ছেলে তাজুল ইসলাম (৩২), একই গ্রামের ইছাক মিয়া ছেলে শাহারুল ইসলাম (২৫) ও আমান উল্লার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (৩৫)।
আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আব্দুল জলিল জানান, জালিয়া জলমহালের দখল নিয়ে স্থানীয় একরার হোসেন ও মাসুক চৌধুরীর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে মঙ্গলবার ভোর থেকে এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে একপক্ষের লোকজন ওই জলমহালে মাছ ধরতে গেলে দুই দল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের মধ্যে তাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন রশিদ বলেন, সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। নিহত তিনজনের শরীরেই গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
শাহারুল ও উজ্জ্বলের শরীরে গুলির চিহ্ন থাকার কথা নিশ্চিত করেছেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুস সবুর মিঞাও।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই শাহারুলের মৃত্যু হয়। আর উজ্জ্বল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
দিরাই থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, জলমহাল এলাকায় পরিস্থিতি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।