সোমবার সন্ধ্যায় সাভার পৗর এলাকার গেন্ডা মহল্লায় ‘মনামী স্বাস্থ্য কেন্দ্র অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’ এ ঘটনা ঘটে।
মৃত নয়নতারা (২০) রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার নয়নদি গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে। স্বামী আতোয়ার রহমানের সঙ্গে নামা গেন্ডা মহল্লায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি।
পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
সাভার মডেল থানার এসআই জাকারিয়া হোসেন জানান, সিজার করার সময় প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। তবে নবজাতক (ছেলে) সুস্থ রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নয়নতারার স্বামী পোশাক শ্রমিক আতোয়ার রহমান বলেন, দুপুরে নয়নতারার প্রসব যন্ত্রনা উঠলে পরিবারের লোকজন বাসার কাছের মনামী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
“বিকালে হাসপাতালটির পরিচালক ডা. এম আর জাহাঙ্গীর, তার স্ত্রী লিপি আক্তার ও ম্যানেজার সুমন জানান, আমার পুত্র সন্তান হয়েছে। তবে নয়নতারা মারা গেছে।”
আতোয়ারের অভিযোগ, ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে নয়নতারা মারা গেছেন।
নয়নতারার মা সাহিদা বেগম বলেন, “দুপুরে মনামী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নার্স রঞ্জনা ও মার্কেটিং অফিসার রাশেদা আমাদের বাসায় গিয়ে নয়নতারাকে জোর করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।”
ঘটনার পর হাসপাতালে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।
হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. শামসুন্নাহার সনেট বলেন, নয়নতারার অপারেশনের সময় প্রেসার অনেক কম ছিল এবং বাচ্চার হার্টবিট বেশি ছিল, যে কারণে অপারেশন করা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।
“আমরা বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানানোর পর তাদের বন্ড সই নিয়েই অপারেশন করেছি। এছাড়া অপারেশনের সময় আমি দ্রুত বাচ্চা বের করে দিয়ে চলে আসি। কিন্তু বিপি ফল করায় তার মৃত্যু হয়েছে।”
তাই এ বিষয়ে কেন প্রসূতির জ্ঞান ফিরেনি সেটি অজ্ঞানকারী ডা. মিঠু ভালো বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. নাজমুল হুদা মিঠুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমজাদ হোসেন বলেন, “রোগীর মৃত্যুর খবর শুনে আমরা হাসপাতালটিতে লোক পাঠিয়েছি। আমাদের গাইনী কনসালটেন্ট জয়নব আক্তারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।”
এ প্রসঙ্গে হাসপাতালটির পরিচালক ডা. এম আর জাহাঙ্গীরের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।