ময়মনসিংহে দাবি আদায়ের আন্দোলনে ৬ জেলার শিক্ষকরা

বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আন্দোলনে নেমেছেন ময়মনসিংহসহ ছয় জেলার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

ইলিয়াস আহমেদ ময়মনসিংহ থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2017, 07:45 AM
Updated : 16 Jan 2017, 09:11 AM

ময়মনসিংহ নগরীর রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে সোমবার সকাল ১০টা থেকে তারা সমাবেশে যোগ দেন।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ময়মনসিংহ অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক দুকুল চন্দ্র দেব বলেন, বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ জেলার প্রায় দুই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।

সমাবেশের এই দিনটা সংরক্ষিত ছুটির মধ্যে ধরা হবে বলে তিনি জানান।

এদিকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া স্কুল বন্ধ রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।

মাহমুদা খাতুন নামে এক অভিভাবক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষকরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য প্রায়ই ক্লাস বন্ধ রেখে আন্দোলন করেন। আজও পূর্ব ঘোষণা না দিয়ে তারা স্কুল বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন।

“স্কুলে ছেলেকে নিয়ে এসে জানতে পারি শিক্ষকদের সমাবেশের জন্য আজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।”

ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী আঁখি বলেন, “আজ আমাদের স্কুল বন্ধ তা আগে থেকে জানানো হয়নি। স্কুলে আসার পর শিক্ষকরা খেলাধুলা করে বাসায় চলে যেতে বলেছেন।”

ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামও স্কুল বন্ধ রাখার খবর জানেন না বলে জানান।

তিনি বলেন, “শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়ে আমার জানা নেই। শিক্ষকরা তাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করতে পারেন। তবে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আন্দোলন করার কোনো সুযোগ নেই।”

শিক্ষক সমিতির কিশোরগঞ্জের সভাপতি নুরুল হক বলেন, “আন্দোলন-সমাবেশের জন্য সোমবার এ জেলায় বেশির ভাগ বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।”

বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান শিক্ষক সমিতির শেরপুরের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ অন্য নেতারা।

বিদ্যালয় বন্ধ রাখার ঘোষণা না দেওয়া সম্পর্কে কয়েকজন শিক্ষকনেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ঘোষণার দিন যেসব শিক্ষার্থী আসেনি তারা ঘোষণা জানতে পারেনি।

শিক্ষকদের আন্দোলন বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা জনউদ্যোগের আহ্বায়ক আইনজীবী নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, “শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হয় এমন কিছু করা ন্যায়সঙ্গত নয়।

“নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে আন্দোলন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা যেন কোনোভাবে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, শিক্ষকদের সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।”