নাসিরনগর থানার এসআই মো. ইশতিয়াক আহমেদ জানান, রোববার দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হাকিম সরাফ উদ্দিনের আদালতে পাঠিয়ে এই আবেদন করা হয়।
আঁখি নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। যুবলীগের জেলা কমিটির সাবেক সদস্য তিনি।
হামলায় আঁখির সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অনুসন্ধানে। প্রথম দফায় আখিঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড ৯ জানুয়ারি শেষ হলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এসআই ইশতিয়াক বলেন, আখিঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার দিন ঠিক করেছে আদালত।
গত ১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাঈল হোসেন শুনানির এ দিন নির্ধারণ করেছিলেনে।
রসরাজ নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর ফেইসবুকে ‘ইসলাম অবমাননার’ ছবি পোস্ট করার অভিযোগে ৩০ বছর বয়সী রসরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই অভিযোগ তুলে পরদিন ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে ১৫টি মন্দিরসহ হিন্দুদের শতাধিক ঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
হামলার ঘটনায় স্থানীয় বারোয়ারি মন্দিরের পুরোহিতসহ দুই ব্যক্তি দুটি মামলা দায়ের করেন। প্রত্যেক মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০০০ থেকে ১২০০ জনকে আসামি করা হয়।