পালং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মো. কামাল উদ্দিন সরদার অভিযোগ করেন, নদীর তীরে মাহড়াবাড়ির ঘাট ও খলিফাবাড়ির ঘাট থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা।
“এতে হুমকির মুখে পড়েছে বসতবাড়িসহ কোটাপাড়া-শরীয়তপুর রাস্তাটি। মাটি কাটার গাড়ির কারণে যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। ধুলোবালিতে অসুস্থ হয়ে পড়ছে লোকজন।”
এর প্রতিবাদে স্থানীয় জনগণ শুক্রবার কোটাপাড়া-শরীয়তপুর সড়কের পূর্ব কোটাপাড়ায় ঝাড়ু মিছিল করেন। তারা মাটি কাটা বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পদক্ষেপ আশা করছেন।
ওই এলাকার বারেক বেপারী বলেন, “মাটি কাটার কারণে আমাদের ফসলি জমিসহ বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে। কাঁচা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ২৫-৩০ ট্রাক মাটি নেওয়ার কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা মাটি কাটা বন্ধের পাশাপাশি রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানাছি।”
অপরদিকে যারা মাটি কাটছেন তাদের দাবি, এই মাটি তারা কিনে নিচ্ছেন।
ইটভাটার মালিক জলিল সরদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা জমির মালিকদের কাছ থেকে মাটি কিনে নিচ্ছি।”
মাটি বিক্রেতা নুরুল হক খলিফা বলছেন, “এই জমি সরকারের নয়। এটা আমাদের মালিকানার জমি। আমাদের মাটি আমরা বিক্রি করতেই পারি।”
এ বিষয়ে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, “আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়ে থাকলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”