হাজার টন কয়লা নিয়ে সাগরে কোস্টার ডুবি

মংলা বন্দর চ‌্যানেলের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় এক হাজার মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে একটি কোস্টার।

বাগেরহাট প্রতিনিধি.বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2017, 09:16 AM
Updated : 13 Jan 2017, 02:16 PM

হারবার মাস্টার কমান্ডার মো. ওয়ালিউল্লাহ জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে সাত নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে এমভি আইজগাঁতি নামের কোস্টারটি দুর্ঘটনায় পড়ে।

তিনি বলেন, “যে এলাকায় কোস্টারটি ডুবেছে ওই এলাকা সব সময় উত্তাল থাকে। এ কারণে নৌযানটির অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নওয়াপাড়া ট্রেডার্সকে কোস্টারটি উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

বন্দরে পণ‌্য ওঠানামার কাজে নিয়োজিত স্থানীয় প্রতিষ্ঠান (স্টিভেডোর) মেসার্স নুরু অ‌্যান্ড সন্সের সত্ত্বাধিকারী এইচ এম দুলাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যশোরের নওয়াপাড়া এলাকার নওয়াপাড়া ট্রেডার্স দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৪৮ হাজার মেট্রিকটন কয়লা আমদানি করেছে। এমভি লেডিমেরি নামের একটি জাহাজ ওই কয়লা নিয়ে মংলা উপকূলে পৌঁছে সাগরে নোঙর করে আছে। সেখান থেকে ছোট জাহাজে করে কয়লা নেওয়া হবে যশোরে।

“জাহাজ থেকে কয়লা নিয়ে এমভি আইজগাঁতি সকালে নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু সাত নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় ডুবোচরে ধাক্কা খেয়ে নৌযানটির তলা ফেটে যায়। পরে ধীরে ধীরে পানি উঠে কোস্টারটি তলিয়ে যায় বলে আমরা খবর পেয়েছি।”

একই সময়ে ফ্লাইঅ্যাশ নিয়ে ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল বসুন্ধরা-৩৭ নামের আরেকটি কোস্টার। তারা ডুবতে থাকা এমভি আইজগাঁতির ১২ জন নাবিক ও চারজন নিরাপত্তা কর্মীর সবাইকে উদ্ধার করেন বলে জানান দুলাল।

বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, এমভি আইজগাঁতির সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নওয়াপাড়ায় যাওয়ার কথা থাকলেও যেখানে সেটি দুর্ঘটনায় পড়েছে তা সুন্দরবন থেকে বেশ দূরে। 

এর আগে গতবছর মার্চে ১ হাজার ২৩৫ টন কয়লা নিয়ে সি হর্স-১ নামে একটি কোস্টার তলা ফেটে সুন্দরবনের শেলা নদীতে ডুবে যায়।

২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ওই শেলা নদীতেই ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ নামে একটি অয়েল ট্যাঙ্কার ডুবে বিস্তীর্ণ এলাকায় তেল ছড়িয়ে ব‌্যাপক দূষণের শঙ্কা তৈরি হয়।

ওই সময় থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন সুন্দরবনের ওই নৌপথটিতে যান চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে।