বুধবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের গোরস্থানের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে মিরপুর থানার ওসি কাজী জালাল উদ্দিন জানান।
এ ঘটনার জেরে স্থানীয় এক জাসদ নেতার বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত লুৎফর রহমান সাবু গত ইউপি নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী ছিলেন। মিরপুর উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাবু সম্প্রতি আওযামী লীগে যোগ দেন। তিনি পল্লী চিকিৎসক ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদর বরাত দিয়ে ওসি জানান, বেলা দেড়টার দিকে লুৎফর রহমান সাবু বাড়ি থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলে করে আলমডাঙ্গা যাচ্ছিলেন। পথে আমবাড়িয়া ঈদগায়ের কাছে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
এদিকে এ ঘটনার জেরে উপজেলা জাসদের সহ-সভাপতি আমবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মিলনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে মিরপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আধাঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তাছাড়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে উপজেলা জাসদ অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, “সাবেক বিএনপি নেতা সাবু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে উপজেলা জাসদ অফিসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জাসদ নেতা মশিউর রহমান মিলন বলেন, “লুৎফর রহমান সাবু কোনোভাবেই আমার প্রতিপক্ষ বা প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। তার হত্যাকাণ্ডে আমি বা আমার কোনো লোকও জড়িত নয়।”
ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার উপর দোষ চাপানো হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।
জাসদ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন বলেন, বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় আইনশৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম।
এদিকে উপজেলা জাসদ কার্যালয় ও নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন দলটির সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
বুধবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী একদল দুস্কৃতিকারীকে দায়ী করেন তিনি।