পাবনায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ,  আহত ১৫

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Jan 2017, 10:16 AM
Updated : 8 Jan 2017, 10:16 AM

রোববার বেলা ১১টার দিকে সাঁথিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে সাঁথিয়া থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান।

এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন হায়দার সান ও এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হন বলে জানান তিনি।

আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ওসি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাঁথিয়ার পৌরসভার মেয়র মিরাজুল ইসলাম ও তপন হায়দার সানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর মধ্যে গত ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন তপনে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

“এ ঘটনায় মিরাজকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করেন তপন। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বেলা ১১টার দিকে তার মিরাজের সমর্থকরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।”

মিছিলটি সাঁথিয়া পৌর এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে সাঁথিয়া বাজার এলাকায় গেলে তপনের সমর্থকরা তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের শুরু হয় বলে জানান ওসি।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৮ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ১২ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তপন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিরাজের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আমার বাড়িতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও গুলি করে।

“এ সময় তাদের ছোঁড়া একটি গুলি আমার পায়ে এসে লাগলে আমার লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা ইট- পাটকেল ছুঁড়েছে। ”

গত ২৮ ডিসেম্বর মেয়র মিরাজের সমর্থকরা তার ব্যক্তিগত কার্যালয় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় বলে দাবি করেন তিনি।

অভিযোগ অস্বীকার করে মিরাজ বলেন, “তপনের লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমার লোকদের ওপর হামলা করেছে। দলীয় প্রভাব বিস্তার করে আমাদের মামলা হামলার মাধ্যমে কোনঠাসা করার চেষ্টা করছে।”