শনিবার সকালে ঝালকাঠি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ছাত্রটির ছোট ভাই কামরুল হাসান মুরাদ সংবাদ সম্মেলন করে রাজাপুর থানার ওসি মুনীর উল গিয়াসের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার মেজ ভাই স্থানীয় বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ ইমরান হোসেন আদানান বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ জন্য ক্লিয়ারেন্স আনতে গেলে পুলিশ ১০ হাজার টাকা দাবি করে।
“পরে পাঁচ হাজার টাকা দিলে গত ৫ ডিসেম্বর ঝালকাঠি পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিশেষ শাখা থেকে আদনানের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা অভিযোগ নেই উল্লেখ করে প্রত্যায়নপত্র দেওয়া হয়।”
তবে এরপর গত ৭ ডিসেম্বর রাতে ১১টার দিকে রাজাপুরের বাসা থেকে তাদের দুই ভাইকে ওসি মুনীর উল গীয়াস থানায় ডেকে পাঠান এবং থানায় গেলে আদনানকে পুলিশ বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ করেন মুরাদ।
তিনি বলেন, “তখন ওসি বলেন- শালা তোর বাবা ৪০ বছর বিদেশ ছিল তোদের অনেক টাকা। তাই পাঁচলাখ টাকা দিলে ওর (আদনানের) জীবন ভিক্ষা দেওয়া যাবে; না হলে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে।”
এদিকে মারধরের এক পর্যায় আদনান জ্ঞান হারিয়ে ফেললে বাসা থেকে দুই লাখ টাকা এনে ওসিকে দিয়ে মারধর থামানো হয় বলেও দাবি করেন মুরাদ।
সেইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, আটক অবস্থায় আদনানের কাছ থেকে তার পূবালী ব্যাংক রাজাপুর শাখার (হিসাব নং ৭১৪০৪৫৫) অনুকূলে ফাঁকা একটি চেকের পাতায় স্বাক্ষর করিয়ে নেন ওসি। তারপর গত ৮ ডিসেম্বর একটি চুরির মামলায় সন্দেহভাজ আসামি দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
চুরির ওই মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আদনান এখন কারাগারে রয়েছেন বলে জানান তার ছোটভাই।
এদিকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি এবং দুইলাখ টাকা ঘুষ নেওয়া বিষয়টি অস্বীকার করেন রাজাপুর থানার ওসি মুনীর উল গিয়াস।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “একটি চুরির ঘটনায় বাদীর সন্দেহের ভিত্তিতে আদনানকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানা হয়েছে। এখানে আমার কিছুই করার নেই।”
ছেলেটিকে দেওয়া পুলিশ প্রত্যায়নপত্রের ব্যাপারে ওসি মুনীর উল গীয়াস বলেন, “দুদিন আগে তার বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো অভিযোগ পায়নি ঠিকই। তবে দুদিন পরে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠতে পারবে না এমন কথা নেই।”