বৃহস্পতিবার বিকালে ও সন্ধ্যায় দুদফায় শ্রীমঙ্গল শহরের ভানুগাছ রোডে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশকিছু দোকানপাট ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার চালক সমিতি কর্মবিরতি এবং শ্রীমঙ্গলের ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ সভা ডেকেছেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন মো. ইকবাল (গুলিবিদ্ধ), বিকাশচন্দ্র দেব, আব্দুন নূর, মো. কুদ্দুস মিয়া, বিজিবি সদস্য মোমিনুল ইসলাম ও আমজাদ হোসেন।
তাদের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
৪৬ বিজিবির অধিনায়ক মেজর মাহমুদ (ভারপ্রাপ্ত) জানান, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শ্রীমঙ্গল সেক্টরে আসার পথে শ্রীমঙ্গল লাইট স্টান্ডের এক ড্রাভারের সঙ্গে ‘রং ড্রাইভ’ করা নিয়ে বিজিবির এক সদস্যের কথা কাটাকাটি হয়।
“এরপর বিকাল ৫টার দিকে ওই ড্রাইভার শ্রীমঙ্গল চলে আসেন এবং লাইট স্টান্ডের কাছে এসে অবরোধ দিয়ে বিজিবির গাড়ি আটকে ওই গাড়িতে থাকা দুই সদস্যকে মারধর করে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ঘটনার পর আহত বিজিবি সদস্যদের নিয়ে একটি গ্রুপ হাসপাতালে যায় এবং অন্যরা ক্যাম্পে গিয়ে আরও বিজিবি সদস্য ডেকে আনলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুপক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়।
জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সঞ্জিত কুমার দেব বলেন, এ সময় ৪০টির মতো দোকান ও ১৫-২০টির মতো যানবাহন ভাংচুর করা হয়েছে।
সংঘর্ষে শ্রমিকদের পক্ষের আটজন আহত হন বলে দাবি সঞ্জিতের।
অপরদিকে বিজিবি তাদের ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করছে।
এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি বলে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন।
তিনি জানান, চালক সমিতির সভাপতি শুক্রবার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া একইদিন শ্রীমঙ্গলের ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ সভা ডেকেছেন।
শ্রীমঙ্গল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মহসিন জানান, ছয় জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে দুইজন বিজিবি সদস্য রয়েছেন। এছাড়া একজন আছেন গুলিবিদ্ধ।