টুঙ্গিপাড়ায় তিন মন্দিরে মূর্তি ভাংচুর, আটক ২

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় তিনটি মন্দিরের মূর্তি ভাংচুর করা হয়েছে; পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে দুইজনকে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2017, 07:44 AM
Updated : 5 Jan 2017, 09:44 AM

উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের জামাই বাজারের তিনটি মন্দিরে বুধবার রাতে এই ভাংচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন সবগুলো মন্দিরের একক কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিরাপদ বসু।

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি মাহামুদুল হক বলেন, দোকান ঘর তোলার বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মো. মোখলেসুর রহমান সরকারসহ পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খোঁজখবর নিয়েছেন বলে জানান ওসি।

উপজেলা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিরাপদ বসু বলেন, বুধবার রাতে গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে দুর্গা মন্দির, হরি মন্দির ও রাধাগোবিন্দ মন্দিরের মূর্তি ভাংচুর করা হয়েছে। পরে আগুন দেওয়া হলেও আগুনে তেমন ক্ষতি হয়নি। শুধু মূর্তির চুল পুড়ে গেছে।

“তিনটি মন্দিরের অন্তত ২০টি মূর্তি ভেঙে তছনছ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা করব।”

ডুমুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুখময় বাইন অভিযোগ করেন, জামাইবাজার এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্প্রতি একটি লক গেট নির্মাণ করে। নির্মাণের সময় সরকারি জায়গায় শ্রমিকরা একটি ঘর তুলে নামাজ আদায় করতেন।

“ওই ঘরের জায়নামাজসহ অন্যান্য মালপত্র কে বা কারা ফেলে দেয়। এ নিয়ে এলাকায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। এছাড়া গেট এলাকার সরকারি জায়গায় উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এজাজ শেখ ও সিরাজ শেখ জোর করে দোকান ঘর তুলতে গেলে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবকরা বেশ কয়েক দফা বাধা দেয়।”

এ নিয়ে এলাকায় বুধবার সন্ধ্যায় উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয়রা বিয়টি মিটিয়ে দেয় বলে জানান সুখময়।

তিনি অভিযোগ করেন, “বুধবার রাতে এজাজ শেখকে ওই এলাকায় ৮-১০ জন লোকের সঙ্গে মিটিং করতে দেখা গেছে। সকালে আমরা মন্দিরের মূর্তি ভাংচুর অবস্থায় দেখতে পাই।”

এ ব্যাপারে এজাজ শেখের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওসি মাহামুদুল হক।

ওসি বলেন, দোকান ঘর তোলার বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

“ইতোমধ্যেই দুইজনকে জিজ্ঞাসাবদের জন্য আটক করেছি। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অমরা দ্রুতই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারব।”

ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচার দাবিতে এলাকার ক্ষুব্ধ হিন্দুরা বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।