‘পুলিশ নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ’

পাঁচ মাস আগে সাতক্ষীরার এক হেগামিওপ্যাথি চিকিৎসককে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়েছেন বলে স্বজনরা অভিযোগ করছেন।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2017, 05:54 PM
Updated : 3 Jan 2017, 05:54 PM

মঙ্গলবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিখোঁজ মোকলেছুর রহমান জনির সন্ধান চান তার পরিবারের সদস্যরা।

জনি সাতক্ষীরা শহরের কুখরালি গ্রামের শেখ আবদুর রহমানের ছেলে। গত ৫ অগাস্ট পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে পরিবারের দাবি।

সংবাদ সম্মেলনে জনির বাবা শেখ আবদুর রাশেদ বলেন, শহরের শহীদ আলাউদ্দিন নিউ মার্কেট চত্বর থেকে পুলিশ জনিকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর দুই দিন জনির সঙ্গে থানায় দেখাও করেছেন তিনি।

“তিনদিনের মাথায় পুলিশ বলছে, আপনার ছেলে কোখায় তা আমাদের জানা নেই।”

তিনি বলেন, “আমার ছেলে কোনো অন্যায় অপরাধ করে থাকলে দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার হোক, কিন্তু আমার ছেলের সন্ধান চাই।”

আবদুর রহমানের সঙ্গে তার পুত্রবধূ (জনির স্ত্রী) জেসমিন নাহারও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেসমিন নাহার বলেন, শহরের নিউ মার্কেটে ওষুধ কিনতে গেলে সাতক্ষীরা থানার এসআই হিমেল তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেন।

“পরে বিষয়টি থানায় জানানো হলে এসআই হিমেল তাদের বলেন- জনির বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, সে নির্দোষ হলে ছেড়ে দেওয়া হবে।”

এরপর দুইদিন থানায় গিয়ে স্বামীর সাথে দেখা করেছেন। তিন বেলা তার খাবারও পৌঁছে দিয়েছেন বলে দাবি করেন জেসমিন।  

কিন্তু ৮ অগাস্ট সকালে দেখা করতে গেলে পুলিশ জনির খবর জানে না বলে তার পরিবারের সদস্যদের জানায়, জেসমিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন।  

এরপর ২৪ অগাস্ট পুলিশ সুপারের কাছে স্বামীর সন্ধান চেয়েও কোনো ফল হয়নি বলে জানান তিনি।

জেসমিন বলেন, জনি পেশায় একজন হোমিও চিকিৎসক। তিনি সপ্তাহের চারদিন তার বাবার বাড়ি কলারোয়ার লাঙ্গলঝাড়ায় থেকে বাবার বিরোধপূর্ণ জমিজমা দেখাশোনা করতেন।

এতে প্রতিপক্ষ তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বিপদে ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তিনি।

এতদিন ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছিল বলে সংবাদ সম্মেলন করতে পারেনি বলে জেসমিন অভিযোগ করেন।

কারা ভয়ভীতি দেখিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তারা পুলিশের লোক বলে বলে ধারণা করছি।”

জনির বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা থানা থেকে বদলি হওয়া এসআই হিমেল বলেন, “এটা অনেক আগের বিষয়। এ সম্পর্কে এখন কিছু মনে নেই।”

কলারোয়া থানায় তৎকালীন ওসি এমদাদুল হক শেখ বলেন, “পাঁচ মাস আগের কথা, এখনই কিছু বলতে পারছি না।”