নাসিরনগরে ইউপি চেয়ারম্যান আঁখির সহকারী ও সচিব আটক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় হিন্দুদের বাড়ি-মন্দিরে হামলার ‘হোতা’ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আখিঁর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2017, 07:47 AM
Updated : 2 Jan 2017, 08:03 AM

তারা হলেন আখিঁর ব্যক্তিগত সহকারী উত্তম কুমার দাস (২৫) এবং হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মনোরঞ্জন দেবনাথ (৪০)।

নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়ি ঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন আখিঁর খোঁজ এখনও পায়নি পুলিশ।

নাসিরনগর থানার ওসি আবু জাফর জানান, আঁখির সঙ্গে মনোরঞ্জন ও উত্তমের যোগাযোগ রয়েছে বলে মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে পুলিশ নিশ্চিত হয়।

রোববার সন্ধ্যায় হরিপুর গ্রাম থেকে মনোরঞ্জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের আনন্দবাজার থেকে উত্তমকে জিজ্ঞাসবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তিনি।

আখিঁর অবস্থান সম্পর্কে জানতে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।

গত বছরের ৩০ অক্টোবর ফেইসবুকে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে নাসিরনগরে ১৫টি মন্দির এবং হিন্দুদের শতাধিক ঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

পরদিন স্থানীয় বারোয়ারি মন্দিরের পুরোহিতসহ দুই ব্যক্তি দুটি মামলা দায়ের করেন;প্রত্যেক মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০০০ থেকে ১২০০ জনকে আসামি করা হয়।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় বিরোধের জের ধরে নাসিরনগরের এমপি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হককে বেকায়দায় ফেলতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সমর্থকরা নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়ি-মন্দিরে হামলার নেপথ্যে ছিলেন বলে জানান স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

এই হামলা চালানোয় আঁখির সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অনুসন্ধানে।

হরিপুর ইউনিয়ন থেকে ১৪ থেকে থেকে ১৫টি ট্রাক ভরে মানুষ আসার পর নাসিরনগরের হিন্দু পল্লীতে হামলা হয়েছিল। যেসব ট্রাকে হামলাকারীরা এসেছিল সেগুলোর ব্যবস্থা ও অর্থের যোগান চেয়ারম্যান আঁখি দিয়েছিলেন বলে একাধিক ব‌্যক্তি জানান।