র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম জানান, শনিবার গভীর রাতে শর্শদী ও ধর্মপুর ইউনিয়নে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এরা হলেন শর্শদী ইউনিয়্ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোর্শেদ আলম (২৭), তার ছোট ভাই গোলাম হোসেন বাপ্পি (২৪), স্থানীয় দুলাল মাঝির ছেলে শেখ বাহাদুর বাক্কা (২০) এবং ধর্মপুর ইউনিয়নের মো. মোস্তাফিজুর রহমান (২৬)।
এদের মধ্যে মোর্শেদ ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য বলে জানিয়েছেন জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি জানে আলম।
তাদের কাছ থেকে একটি পাঁচটি ওয়ানশ্যুটারগান, সাতটি একনলা বন্দুক, ১০৪ রাউন্ড গুলি, চার রাউন্ড কার্তুজের খালি খোসা পাওয়া গেছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে র্যাব কর্মকর্তা শাফায়াত বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শর্শদী গ্রামের মোক্তার বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলম, বাপ্পি ও বাক্কাকে তিনটি ওয়ানশুটার গানসহ আটক করা হয়।
“পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোর্শেদ ও বাপ্পীর ঘরে তল্লাশি চালিয়ে বাকি অস্ত্র ও গুলি এবং ৮২ বোতল ফেন্সিডিল, ২৭ বোতল বিদেশি মদ, ১৫টি বিয়ারের বোতল এবং ৩৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।”
আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া ধর্মপুর ইউনিয়ন থেকে একাধিক মামলার মোস্তাফিজুর রহমানকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয় বলে শাফায়াত জামিল জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শাফায়াত বলেন, “গোপন তথ্য পেয়ে ঈদগাঁহ সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ওয়ানশুটার গান, একটি ম্যাগাজিন, ১২ বোর শটগানের ছয় রাউন্ড কার্তুজ, পিস্তলের চার রাউন্ড গুলি এবং থ্রি নট থ্রি রাইফেলের তিন রাউন্ড গুলিসহ মোস্তাফিজুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
মোস্তাফিজুর দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন; তার বিরুদ্ধে থানায় বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।