রোববার সকালে শহরের অম্বিকাপুরে কবির বাড়ির আঙিনায় তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, চেয়ারজসীম ফাউন্ডেশন, প্রেস ক্লাব, কবির প্রতিষ্ঠিত আনসারউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন।
পরে সেখানে কবির জীবনের উপর আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে আনসারউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা স্কুল থেকে একটি র্যালি বের করে কবির সমাধিতে উপস্থিত হয়।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা, জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া, পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা, প্রফেসর আলতাব হোসেন, এডিসি রাজস্ব ড. কামরুজ্জামান সেলিম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল ইসলাম পিকুল, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চৌধুরী প্রমুখ।
১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন জসীম উদদীন। আর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে পৈত্রিক বাড়িতে কবিতায় বলা সেই ‘ডালিম গাছের নিচে’ চিরনিদ্রায় শায়িত হন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে শিক্ষকতায় যোগ দিলেও পরে কাজ করেন সরকারের প্রচার বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে। জসীমউদদীনের কবিতায় পল্লিপ্রকৃতি ও গ্রামবাংলার সহজ জীবনের চিত্র ফুটে ওঠে বলে তাকে বলা হয় পল্লীকবি।
কবিতা ছাড়াও গাঁথাকাব্য, খণ্ডকাব্য, নাটক, স্মৃতিকথা, শিশুসাহিত্য, গল্প ওউপন্যাস লিখেছেন জসীমউদদীন। তার লেখা কবিতা ‘কবর’ যখন প্রবেশিকা বাংলা সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়, তখনও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে জসীম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে পক্ষকাল ব্যাপী জসীম পল্লী মেলা শুরু হবে।