বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান সিহাবকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত সদস্য প্রার্থী মো. হোসেন শহীদ সোহারাওয়ার্দি গ্রেনেড বাবু পেটান বলে জানান কিশোরগঞ্জ থানার ওসি বজলুর রশীদ।
ঘটনার পর সিহাবের অভিযোগে বাবুকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তালা প্রতীক নিয়ে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য বাবু।
চেয়ারম্যান সিহাব বলেন, “জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাবু আমার কাছ ভোট চান। আমি তাকে ভোট দিতে অস্বীকৃতি জানাই। পরে নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন।
“বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মসজিদে নামাজ পড়ে বের হতেই বাবু লোকজন নিয়ে আমার উপরে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তিনি আমার শার্টের কলার ধরে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মারেন এবং পকেটে থাকা ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন।”
পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে থাকা লোকজন এগিয়ে এলে বাবু ও তার লোকজন পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা তাকে কিশোগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন বলেও জানান এ ইউপি চেয়ারম্যান।
তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বাবু বলেন, “মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের (৩, ৪, ৫ ওয়ার্ড সদস্য) সংরক্ষিত সদস্য শিল্পী আক্তার আমার ভাবি। তিনি যেন আমাকে ভোট না দেন এ জন্য চেয়ারম্যান সিহাব তাকে নানা রকম হুমকি দিয়ে আসছিলেন।”
বুধবার ভোটের দিন কিশোরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের সামনে সিহাব ও তার লোকজন শিল্পী আক্তার ও তার স্বামী জুয়েলকে আটক করে লাঞ্ছিত করে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।
বাবু বলেন, “বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করে প্রতিবাদ জানিয়েছি মাত্র। তবে এটা সত্য যে আমি তার শার্টের কলার ধরেছি। তবে ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগ মিথ্যা।”
ওসি বজলুর বলেন, এ ঘটনায় চেয়ারম্যান সিহাব থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে বাবুকে আটক করা হয়েছে।
বিষয়টির তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।