সাঁথিয়ায় ২ জনকে কুপিয়ে আহত, আ. লীগ নেতার অফিসে অগ্নিসংযোগ

জেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালে পাবনার সাঁথিয়ায় দুই যুবককে কুপিয়ে আহত করার পর স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার কার্যালয় জ্বালিয়ে দিয়েছে ‘প্রতিপক্ষের’ লোকজন।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Dec 2016, 11:05 AM
Updated : 28 Dec 2016, 11:05 AM

বুধবার দুপুরে সাঁথিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আহতরা হলেন পুরাট গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে শওকত হোসেন (৩৪) ও পৌরসভার বোয়ালমারি গ্রামের আব্দুর রশিদ ওরফে আমির হোসেনের ছেলে রাসেল (২৮)।  

রাসেলকে প্রথমে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শওকতকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন হায়দার সান সাংবাদিকদের বলেন, “জেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালে দুপুর দেড়টার দিকে আমার পক্ষের দুই সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আলমাস ও সাঁথিয়া পৌর মেয়র মিরাজুল ইসলামের সমর্থিত প্রার্থী রবিউল করিম হিরু সমর্থকদের মধ্যে সাঁথিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কথা কাটাকাটি হয়।”

এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর দুই জনকে একদল যুবক চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে বলে জানান তিনি।

তপন হায়দার আরও বলেন, “আমি নির্বাচনী কেন্দ্রের সামনে অবস্থান করার সময় পৌর মেয়র মিরাজুল ইসলামের ভাইয়ের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আগুন দেয়। পরে বেড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।”

প্রশাসনকে তাৎক্ষণিক বিষয়টি অবহিত করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন বলে জানান।

সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মিরাজুল ইসলাম বলেন, “এটি নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো সহিংসতা নয়। তারা নিজেরাই এই ঘটনা ঘটানোর পর আমার ও আমার লোকজনের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।”

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা দ্রুততম সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে সাঁথিয়া বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

কে বা কারা এই ঘটনার জন্যে দায়ী তা তদন্ত করে বের করা হবে বলে তিনি জানান।