সংঘর্ষের পর কুমিল্লা মেডিকেল বন্ধ

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ছাড়তে বলেছে কর্তৃপক্ষ।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Dec 2016, 06:02 AM
Updated : 28 Dec 2016, 09:21 AM

কলেজের অধ্যক্ষ মহসিনুজ্জামান চৌধুরী বুধবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগের রাতে দুটি পক্ষের মধ্য সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

“পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের আজ বিকাল ৪টার মধ্যে ছাত্রাবাস ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। তবে পরীক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করবেন এবং সব পরীক্ষাও যথাসময় অনুষ্ঠিত হবে।”

দুটি পক্ষ কারা জিজ্ঞেস করলে অধ্যক্ষ শুধু বলেন - ‘ক্ষমতাসীনরা’।

কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রব বলছেন, পুরনো বিরোধের জেরে মূলত দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রদের দুটি পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে মঙ্গলবার রাত ১১টায় ও বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় সংঘর্ষ হয়।

নাম না জানিয়ে কলেজের এক সহয়োগী অধ্যাপক বলেন, দ্বিতীয় বর্ষের হান্নান ও  অষ্টম ব্যাচের চিকিৎসক পলাশ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএর দুটি পক্ষের অন্তর্দ্বন্দ্ব থেকে এই সংঘর্ষ বাধে বলে তিনি জানান।

কলেজের পঞ্চম ব্যাচের এক ছাত্র নাম না জানিয়ে বলেন, দুই মাস আগে কলেজে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে নিজেদের প্রভাব সৃষ্টির চেষ্টা করছে দুই পক্ষ। নতুন শিক্ষার্থীদের নিজেদের অনুসারী করার লক্ষ্যে উভয় পক্ষ ক্যাম্পাসে নিজেদের সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায়। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।

আহতরা হলেন - কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র হৃদয় নাথ, ইমন, দ্বিতী বর্ষের ফয়সাল, দীপ্ত, রুবেল, রায়হান, তৃতীয় বর্ষের মালেক, পঞ্চম বর্ষের  আসিফুর হমান, জহিদ হাসান, জিহান, দিমান, চয়নসহ ১৫ জন।

আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।