বিভিন্ন চার্চে রোববার সকালে জন্মদিনের কেক কেটে, বাইবেল থেকে পাঠ করে, মানুষের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি শুরু করেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। তবে চার্চবিশেষে এ আয়োজনে বৈচিত্র্য দেখা গেছে। কোথাও বের করা হয়েছে শোভাযাত্রা, কোথাও রঙিন আলোকসাজ, শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, ইত্যাদি।
সারাদেশের খবর পাঠিয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধিরা।
কুমিল্লা
“পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা ছিল যিশুর ব্রত। তিনি দুঃখী, নির্যাতিত ও দরিদ্র মানুষসহ বিশ্বময় সবার জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন আজীবন।”
অনুষ্ঠানে জেলার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেনসহ প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুরে ৫২ পাউন্ডের কেক
ফরিদপুর শহরের মিশন হাউজে শনিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে ৫২ পাউন্ড ওজনের কেক কেটে বড়দিন উপলক্ষে যিশুর প্রতি ভালবাসা জানানো হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় মিশন হাউজে ধর্মীয় গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসবের দিনটি।
খাগড়াছড়ির অর্ধশতাধিক চার্চে উদযাপিত হচ্ছে এ বছরের বড়দিন।
খাগড়াপুর ব্যাপ্টিস্ট মণ্ডলির পালক হেমংকর ত্রিপুরা বলেন, যিশু মানুষকে পাপমুক্ত করতে এদিনে পৃথিবীতে আসেন। তাই ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টানরা খুব খুশি। এদিনে খ্রিস্টানরা সানন্দে বাইবেল পাঠ ছাড়াও নাচ-গান করে থাকেন।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী জানান, বড়দিন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ
কৃষ্টপুর গির্জায় সকাল ৯টায় বড়দিনের প্রার্থনায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা সন্ত্রাসমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
সারাদিন তিনি প্রিয়জনদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ভাল খাওয়া-দাওয়া করে ও ঘোরাঘুরি করে সময় কাটাবেন বলে জানান।
বেনাপোল
যশোর জেলার বেনাপোলের উলাশি ও নোয়াপাড়া গির্জায় সকালে প্রার্থনার পর খ্রিস্টান নারী-পুরুষ ও শিশুরা নেচে-গেয়ে ও কোলাকুলি করে বড়দিনের উৎসব শুরু করেন। উৎসব ঘিরে গির্জা প্রাঙ্গণে বসে মেলা।