শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার বানদিঘি গ্রামে এ ঘটনায় মেয়েটির চাচা বাদী হয়ে কালাই থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগ, গভীর রাতে ওই ছাত্রীর বাড়ির প্রাচীর টপকে প্রথমে তার বাবা-মার ঘরের দরজায় শেকল তুলে দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে মেয়েটির ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।
অভিযোগে বলা হয়, ভোর রাতের দিকে মেয়েটির মা শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে বুঝতে পারেন দরজা বাইরের দিক থেকে লাগানো। তখন শোর-চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা এসে দরজা খুলে দেয় এবং পাশের ঘর থেকে থেকে মেয়েটিকে বিবস্ত্র ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি নিয়ে যায়।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদ ও ধষর্কদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার সকালে স্থানীয়রা মাত্রাই-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে।
খবর পেয়ে জয়পুরহাটের এএসপি (সার্কেল) অশোক কুমার পাল ও কালাই থানার ওসি মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে ধষর্কদের গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় স্থানীয়রা।
ওসি নুরুজ্জামান বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেন তাদের গ্রেপ্তার করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।