আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী চন্দন কুমার পাল সোমবার রিটার্নিং অফিসার বরাবর এ অভিযোগ করেন।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক এ এম পারভেজ রহিম অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
চন্দন পাল অভিযোগ করেন, তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হুমায়ুন কবির রুমান দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহী হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন।
“রুমান ও তার সহযোগীরা প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী সভায় আমি সনাতন ধর্মাবলাম্বী হওয়ায় সাম্প্রদায়িক ইসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।”
হুমায়ুন কবির রুমানের পক্ষে তার কিছু ‘উশৃঙ্খল সমর্থক ও অনুসারী’ তাদের ফেইসবুকে ‘সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক স্ট্যাটস’ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
তিনি এ ধরনের উসকানিমূলক প্রচারণা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার চরম পরিপন্থি বলে উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে হুমায়ুন কবির রুমান সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদানের কথা অস্বীকার করে বলেন, “ফেসবুকে স্ট্যাটাস প্রদানকারী ফেরদৌস আলী নামে কাউকে আমি চিনি না। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। চন্দন কুমার পাল আমার বিজয় নিশ্চিত জেনে আমার এবং সমর্থকদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছেন।”
রিটার্নিং অফিসার এ এম পারভেজ রহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উসকানিমূলক স্ট্যাটাস প্রদানকারীর ফেইসবুক একাউন্ট বন্ধ করতে বিটিআরসি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হবে বলেও তিনি জানান।