হুইপ আতিকের বিরুদ্ধে আবার বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস পাওয়ার দুই সপ্তাহ পর সরকারদলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে আবার একই অভিযোগ উঠেছে।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2016, 01:10 PM
Updated : 14 Dec 2016, 03:58 PM

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির রুমান বুধবার শহরের খরমপুর এলাকায় নিজের নির্বাচনী ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ।

এ জেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হলেন চন্দন কুমার পাল। দলের সমর্থন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন হুমায়ুন কবির রুমান। আতিউর রহমান আতিক শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য।

গত ২৮ নভেম্বর হুইপ ও চন্দন কুমার পালকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিস দেন জেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এ এম পারভেজ রহিম।

সংবাদ সম্মেলনে রুমান ছাড়াও বক্তব্য রাখেন শেরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামান, চরশেরপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সুজন তালুকদার সফি প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে রুমান বলেন, হুইপ আতিক গত ১৩ ডিসেম্বর তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলা বারঘরিয়ার বাসভবনে চর মোচারিয়া ও বলাইরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ডেকে নেন। সেখানে তিনি তাদেরকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী চন্দন কুমার পালকে ভোট দিতে বলেন।

এছাড়া বিভিন্ন রাস্তা নির্মাণ, টিআর, জিআর, কাবিখার মাধ্যমে অনুদান ও নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বলে অভিযোগ করেন রুমান।

ফাইল ছবি

রুমন আরও বলেন, তাছাড়া একই দিন রাতে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে চন্দন পালসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জরুরি সভা করেন আতিক।

“ওই সভায় সদর উপজেলার ভোটারদেরকে দুই টন করে কাবিখা বরাদ্দ দিয়ে চন্দন পালকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নেন।”

২৭ জন ভোটার মৌখিকভাবে বিষয়টি তাকে জানিয়েছেন বলে রুমান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। 

হুইপ আতিকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এ প্রার্থী।

এ ব্যাপারে শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেবেন।

আগামী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা পরিষদে স্থাপিত ওয়ার্ডভিত্তিক কেন্দ্রে ভোট চলবে।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে এর আগে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ২৮ নভেম্বর সরকারদলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক ও প্রার্থী চন্দন কুমারকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়।