ভূঞাপুর থানার ওসি এ কে এম কাউসার চৌধুরী জানান, এক সপ্তাহ আগে এ ঘটনায় আহত ফাতেমা খাতুন লিয়া (২৫) টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ফাতেমা ভূঞাপুরের অলোয়া ইউনিয়নের চান আমুলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
গ্রেপ্তাররা হলেন ফাতেমার স্বামী শফিকুল ইসলাম, শাশুড়ি মোছা. রোকেয়া বেগম ও শ্বশুর মো. আব্দুল হামিদ।
এ ঘটনায় ফাতেমার বাবা তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে শফিকুলকে প্রধান আসামি করে এ তিনজনের বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের চাঁন আমুলা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে ছয় বছর আগে একই উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে ফাতেমা খাতুন লিয়ার বিয়ে হয়।
বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে শফিকুল ইসলামকে এক লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেন তোফাজ্জল হোসেন।
বিয়ের পর দুই বছরের মতো তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোভাবে চলছিল। এরপর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফাতমার উপর নির্যাতন শুরু করে।
এরমধ্যে ফাতেমার দুই ছেলে হয়। ছোট ছেলের বয়স ১৩ দিন, যে মায়ের সঙ্গে হাসপাতালে আছে।
সম্প্রতি শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফাতেমার বাবার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে। ফাতেমা ওই টাকা আনতে যেতে অস্বীকৃতি জানালে অত্যাচার শুরু হয়।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, গত মঙ্গলবার রাতে স্বামী, শাশুড়ি, ও শ্বশুর মিলে ফাতেমাকে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করেন। পরে শ্বশুর-শাশুড়ি হাত-পা ধরে রাখেন আর স্বামী শফিকুল ইসলাম দা দিয়ে কোপান।
এ সময় ফাতেমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার করে তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেলে নিয়ে যায়।
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. পুতুল রায় বলেন, “নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেল ফাতেমা।”