সোমবার নগরীর ঈশ্বর বসু রোডে অবস্থিত অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
সাইফুর রহমান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশাল আঞ্চলিক শাখার প্রোগ্রামার।
বরিশাল দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সিফাত উদ্দিন জানান, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বিধিবহির্ভূতভাবে রংপুর অঞ্চলের ১৮ শিক্ষকের বেতন স্কেল সংক্রান্ত ‘বেতন কোড’ পরিবর্তন করেন সাইফুর।
“উচ্চতর ধাপে বেতন কোড পরিবর্তনের বিপরীতে ১৮ শিক্ষকের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে ৯ বারে সাড়ে ১৮ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন তিনি।”
ওই সময় তিনি রাজধানীর শিক্ষা ভবনে অবস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের ডিজি অফিসে কর্মরত ছিলেন। প্রায় এক বছর আগে তিনি বরিশাল বদলি হয়ে আসেন বলে জানান সিফাত।
তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করতে নেমে দুর্নীতির প্রমাণ পায় দুদক। এর প্রেক্ষিতে গত ২৮ নভেম্বর রাজধানীর শাহাবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের ঢাকা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
সিফাত জানান, ওই মামলায় সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের মাধ্যমে বরিশাল অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আনিছুর রহমানের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।