সাঁওতালরা জমি ফেরত চাইতে পারে না: ডেপুটি স্পিকার

অধিগ্রহণের অর্ধশতাধিক বছর পর সাঁওতালরা জমি ফেরত চাইতে পারে না বলে মন্তব‌্য করছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Dec 2016, 04:51 PM
Updated : 9 Dec 2016, 04:52 PM

শুক্রবার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলে ২০১৬-১৭ সালের মৌসুমের আখ মাড়াই কার্যক্রম উদ্বোধন করার সময় তিনি এ কথা বলেন।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, ১৯৫৩-৫৪ সালে স্থানীয় সাঁওতাল ও মুসলমানদের কাছ থেকে রংপুর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহণ করে। সেই সময় মিল কর্তৃপক্ষের কাছে তারা জমির টাকা বুঝে নেয়। ৬০/৭০ বছর পর সাঁওতালরা ‘কীভাবে জমি ফেরত চায়?’

১৯৬২ সালে গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল ও বাঙালিদের এক হাজার ৮৪০ দশমিক ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করে রংপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি চিনিকল কর্তৃপক্ষ ওইসব জমি লিজ দিলে তাতে ধান-পাটসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ করা হয়।

এ কারণে অধিগ্রহণের চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে প্রায় দুই বছর আগে বাপ-দাদার জমি ফেরত পাওয়ার আন্দোলন শুরু করে সাঁওতাল ও স্থানীয় কিছু বাঙালি হিন্দু-মুসলমান ।

এরপর গত ৬ নভেম্বর খামারের ওই জমিতে আখ কাটাতে গেলে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে তিন সাঁওতাল নিহত হন, আহত হন অনেক।

সাঁওতালদের আন্দোলন সম্পর্কে ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, জমি অধিগ্রহণের সময় সাঁওতালদের জমি ছিল ‘পাঁচ শতাংশ’। বাকি জমি ছিল বাঙালিদের। কিন্তু সাঁওতালরা ‘কিছু মানুষের উসকানিতে’ জমির জন্য আন্দোলন শুরু করেছে।

“সাঁওতালরা কাগজে কলমে যদি দেখাতে পারে এই জমি তাদের। তাহলে অবশ্যই তারা জমি ফেরত পাবে।”

অন‌্যদের মধ্যে গাইবান্ধা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, বিএসএফআইসি ঢাকার পরিচালক (উৎপাদন ও প্রকৌশল) ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামছুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

রংপুর চিনিকল বিগত এক মৌসুমে উৎপাদিত চিনির প্রায় অর্ধেক অবিক্রিত রেখে এবারও আখ মাড়াই মৌসুম শুরু করেছে।

রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল আউয়াল জানান, বর্তমানে এ চিনিকলের গুদামে ছয় কোটি টাকার এক হাজার মেট্রিক টন চিনি অবিক্রিত আছে।