সামসুল হক বৃহস্পতিবার বিকালে নীলফামারী শহরের বড়বাজারে নিজের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিক ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের বেঞ্চ গত ২৯ নভেম্বর আমাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশটি ছয় মাসের জন্য স্থগিতের আদেশ দিয়েছে।
“উচ্চ আদালতের এই আদেশের ফলে প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর পদে দায়িত্ব পালনে আমার আর কোনো বাধা নেই। এখন আমি আমার পদে ফিরে যেতে চাই।”
প্রায় ১১ বছর আগের একটি মামলায় ২০১৬ সালের ১৮ অগাস্ট সামসুল হক সাময়িক বরখাস্ত হন।
হাই কোর্ট নীলফামারীর জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষের কাছে বরখাস্তের কারণ জানতে চেয়েছে বলে জানান সামসুল হক।
সামসুল হক ছিলেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ১ নম্বর প্যানেল মেয়র।
তিনি অভিযোগ করেন, “২০০৫ সালের এক মামলায় আমাকেসহ ১০ জনকে আসামি করা হলেও আমাকেসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়ে বাকি পাঁচজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
“আদালত অভিযোগপত্র আমলে নেয়নি। সেই মামলার আমরা ১১ বছর ধরে আদালতে হাজির হচ্ছি।”
এ অবস্থায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলে তিনি এর বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন বলে জানান।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এজেএম এরশাদ আহসান হাবীব বলেন, এখনও উচ্চ আদালতের কোনো আদেশ তাদের কাছে আসেনি।
আদেশের কাগজপত্র পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে তারা জানান।