ফরিদপুরে ‘করিমপুর যুদ্ধ’ স্মরণ

ফরিদপুরে গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে ‘করিমপুর যুদ্ধ’ দিনটি স্মরণ করা হয়েছে।

ফরিদপুর প্রতিনিধিমফিজুর রহমার শিপন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Dec 2016, 06:00 AM
Updated : 9 Dec 2016, 09:29 AM

জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে শুক্রবার সকাল ৯টায় ফরিদপুর শহরের আলীপুর কবরস্থানের শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. এরাদুল হক, আরডিসি পারভেস মল্লিক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ, আমিনুর রহমান ফরিদ, খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

করিমপুর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান জানান, একাত্তরের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের করিমপুর ব্রিজের কাছে মুক্তিযোদ্ধারা গ্রেনেড ছুড়ে পাকসেনাদের একটি গাড়ি উড়িয়ে দেন।

“এরপর পাকবাহিনীর একটি বড় বহর ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধ হয়। একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধারা তিন-চার ভাগে বিভক্ত হয়ে গুলি করতে করতে পিছু হটে করিমপুর গ্রামে আশ্রয় নেন। পাকবাহিনী গ্রামটি ঘিরে ফেলে।”

এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় নেওয়া একটি বাড়িতে হানাদাররা আগুন ধরিয়ে দিলে সাত মুক্তিযোদ্ধা পুড়ে শহীদ হন বলে জানান মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান।

সাত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হলেন - কাজী সালাউদ্দিন, নৌফেল, আব্দুল ওয়াহাব, সোহরাব হোসেন, আব্দুল আওয়াল, আব্দুল হামিদ ও মজিবুর রহমান।

“মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়ায় ওই গ্রামের বাকেল উদ্দীন মণ্ডল, হযরত উদ্দীন মণ্ডল, হাশেম আলী মণ্ডল ও আবু খাঁ নামে এক কৃষককে পাকসেনারা হত্যা করে,” বলেন মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান।

করিমপুরের যুদ্ধস্থলে কোনো স্মৃতিসৌধ নেই জানিয়ে ফরিদপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আমিনুর রহমান ফরিদ বলেন, “দেশ স্বাধীনের পর প্রায় অর্ধশতক পেরিয়ে যাচ্ছে। এখনও সেখানে একটি স্মৃতিসৌধ না হওয়া আমাদের জন্য লজ্জাকর।”

তিনি ওই গ্রামে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।