নাটোরের ৩ খুনে ‘প্রশিক্ষিত বাহিনী’, অভিযোগ মামলায়

নাটোরের তিন যুবলীগ নেতা-কর্মী হত‌্যাকাণ্ড ‘প্রশিক্ষিত কোনো বাহিনী’ ঘটিয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2016, 10:21 AM
Updated : 8 Dec 2016, 11:13 AM

এজাহারে খুনের জন‌্য দায়ী করে সরকারি কোনো বাহিনী কিংবা কোনো সন্ত্রাসী বাহিনীর নাম বলা না হলেও তাদের ‘র‌্যাব পরিচয়ে’ ধরে নেওয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিহতদের একজন নাটোর পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস‌্য রেদোয়ান সাব্বিরের মা রুখসানা বেগম বৃহস্পতিবার মামলাটি করেন।

মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে নাটোর সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।

গত ৫ ডিসেম্বর দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রেদোয়ান সাব্বিরের (৩০) পাশাপাশি যুবলীগকর্মী সোহেল রানা (২৪) ও আব্দুল্লাহর (২৫) লাশ পাওয়া যায়।

লাশ উদ্ধারের পর সংবাদ সম্মেলন করে এই তিনজনকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা। তবে খুনি কারা, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহের কথা জানাননি তারা।

তার চার দিন পর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এই মামলা হল।

এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৩ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে রেদোয়ান সাব্বির ব্যবসায়িক কাজে সদর থানার তোকিয়া বাজারে যান। সেখানে মান্নান মিয়ার চায়ের দোকানে বন্ধু আব্দুল্লাহ ও সোহেল রানাকে নিয়ে চা খাচ্ছিলেন।

“রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুটি মাইক্রোবাসে অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫ থেকে ১৬ জন সশস্ত্র লোক র‌্যাব পরিচয় দিয়ে তাদের লাঠিপেটা করে দুটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়।”

তোকিয়া বাজারের নৈশ প্রহরী মো. আব্দুল জব্বার এবং ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার ও নৈশ প্রহরী আব্দুল লতিফসহ অনেকেই ঘটনা দেখেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এরপর তাদের কোনো খোঁজ না পেয়ে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে সাব্বিরের পরিবার।

গত ৫ ডিসেম্বর সকালে থানার মাধ্যমে জানতে পারেন যে, সাব্বির ও তার দুই বন্ধুর গুলিবিদ্ধ লাশ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের কলাপাড়া এলাকার একটি বাগানে পাওয়া গেছে।

দিনাজপুরে এখানেই পাওয়া গিয়েছিল তাদের লাশ

খবর পেয়ে স্বজনদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিলে ছেলের লাশ শনাক্ত করে নাটোরে নিয়ে আসে পুলিশ।

ওসি বলেন, “বিভিন্ন সময়ে পুলিশ বা র‌্যাবের মাধ্যমে দুষ্কৃতকারী বা সন্ত্রাসী নিহত হলে সে খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হয়, কিন্তু বাদীর ছেলেসহ তিনজনকে বন্দুকযুদ্ধে হত্যার কোনো খবর প্রচার করা হয়নি বলে উল্লেখ রয়েছে মামলায়।

“প্রশিক্ষিত কোনো শক্তিশালী বাহিনী পরিকল্পিতভাবে তাদের গুলি করে হত্যার পর লাশ ফেলে গেছে বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন সাব্বিরের মা,” বলেন ওসি।