রাজশাহীতে অপহরণের আট ঘণ্টা পর উদ্ধার ওয়ার্ড আ. লীগ নেতা

রাজশাহী শহর থেকে আওয়ামী লীগের এক স্থানীয় নেতাকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেওয়ার আট ঘণ্টা পর পবা উপজেলা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2016, 07:20 PM
Updated : 7 Dec 2016, 07:20 PM

উদ্ধার কামরুল ইসলাম রাজশাহী (দক্ষিণ) নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার ওয়েল্ডিংয়ের ব্যবসা রয়েছে।

বুধবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে নগরীর শিরোইল কলোনি বড় মসজিদের পাশে থাকা নিজের দোকান থেকে কামরুলকে তুলে নেওয়ার পর রাত ১১টার দিকে চোখ বাঁধা অবস্থায় মাইক্রোবাস থেকে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়।

মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, “রাত ১১টার দিকে পবা উপজেলার পারিলা এলাকার মাঠের মধ্যে চোখ বাঁধা অবস্থায় মাইক্রোবাস থেকে কামরুলকে নামিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তিনি বাড়ি চলে আসেন।”

“তবে গাড়িতে তোলার পর তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে।”

বাড়ি আসার পর কামরুলকে র‌্যাব ও পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলেও জানান সুমন।

বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদত হোসেন খান বলেন, ‍“বাড়ি ফেরার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কারা তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল তা জানান চেষ্টা করা হচ্ছে।”

তবে কারা তুলে নিয়েছিল সেবিষয়ে কামরুল তেমন কোনো তথ্য তিনি দিতে পারেননি বলে জানান ওসি।

এর আগে বিকালে কামরুলকে তার দোকান থেকে তুলে নেওয়ার খবরে সেখানে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ স্থানীয়রা ছুটে যান।

কারা কেন কামরুলকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে গেছে তা শনাক্ত করতে পুলিশের কয়েকটি টিম তদন্তে নেমেছিল বলেও জানিয়েছিলেন বোয়ালিয়ার ওসি শাহাদাত হোসেন।

বিকালে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টিটো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কামরুল তার দোকানে বসে ছিলেন। চারজন যুবক তাকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে গল্প করতে করতে মাইক্রোবাসের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে দ্রুত চলে যায়।

“ওই সময় কামরুলের দোকানে জসিম ও সোহেল নামের দুই কর্মচারী ছিল। জলপাই রংয়ের মাইক্রোবাসটি আগে থেকেই পূর্ব দিক করে রাখা ছিল।”

কামরুলের দোকানের কর্মচারী জসিম বলেন, ‍“চার যুবক কথা বলতে বলতে কামরুল ভাইকে মাইক্রোবাসের কাছে নিয়ে গিয়ে জোর করে তুলে নেয়। মাইক্রো ছেড়ে দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়।”

তবে মাইক্রোবাসে কতজন ছিল তা বলতে পারেননি জসিম।