বুধবার ভোর থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শীতের প্রভাব দেখা গেছে। রাস্তা-ঘাট যেমন ফাঁকা, তেমনি কুয়াশার ভিড় ঠেলতে হেডলাইট জ্বালাচ্ছে বিভিন্ন যান।
শহরের খালপাড়া এলাকার বাসিন্দা আজিম উদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চার-পাঁচ দিন ধরে শীত ও হিমেল হাওয়া বাড়ছে। জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছি ইতোমধ্যেই।”
কালিতলা এলাকার রিকশাচালক আব্দুস সামাদ বলেন, “ঠাণ্ডায় মানুষ রিকশায় উঠতে চায় না।”
দিনের বেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে বলে মজা করে হাসলেন ট্রাকচালক খোরশেদ আলম।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শাহজাহান নেওয়াজ জানান, শীত আসার সঙ্গে শীতজনিত রোগ শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়ার আক্রমণ বাড়ছে। হাসপাতালে আসতে শুরু করেছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তরা।
জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলছেন, ইতোমধ্যেই দরিদ্রদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় তিন হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। আরও একটি চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
শীত মোকাবিলায় সব ধরনের সরকারি প্রস্তুতি রয়েছে বলে তিনি জানান।