সাঁওতালদের স্বাভাবিক চলাফেরা করতে দেওয়ার দাবি

গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালরা গ্রাম থেকে বের হতে পারছে না অভিযোগ করে তাদের স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার ভূমি উদ্ধার কমিটির সদস্য মাদারপুর সাঁওতাল পল্লীর প্রধান বার্নাবাস টুডু।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2016, 06:13 PM
Updated : 6 Dec 2016, 06:13 PM

গোবিন্দগঞ্জে সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের সাঁওতালদের ‘উচ্ছেদ, হামলা ও হত্যার’ ঘটনার এক মাস পুর্তিতে মঙ্গলবার আয়োজিত এক সমাবেশে এ দাবি জানান তিনি।

গত ৬ নভেম্বর খামারের ওই জমিতে আখ কাটাতে গেলে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে তিন সাঁওতাল নিহত হন, আহত হন অনেক। পরে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদেরকে ওই জমি থেকে ‘উচ্ছেদ’ করা হয়।

ওই ঘটনার স্মরণে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, উদীচী ও জনউদ্যোগ গাইবান্ধা জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে সন্ধ্যায় গাইবান্ধার পৌরপার্কের স্বাধীনতা স্তম্ভে প্রতিবাদী গণ সংগীত ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের কর্মসূচি পালিত হয়।

বার্নাবাস বলেন, “থানায় এজাহার দাখিলের পর এমপি চেয়ারম্যানের লোকজন আমাদের হুমকি দিচ্ছে। গ্রাম থেকে আমরা বের হতে পারছি না। আমাদের স্বাভাবিক চলাফেরা করার অধিকার ফিরে দেওয়া হোক।”

সমাবেশে জেলা উচীচীর সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল গণি রিজন বলেন, ঘটনার একমাস পেরিয়ে গেলেও বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়নি। অবিলম্বে নাগরিক সমাজসহ সকলকে নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক।

এছাড়াও নিহত ও আহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও সাঁওতালদের জমি ফেরত দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

উদীচী গাইবান্ধা জেলা সংসদের সভাপতি জহুরুল কাইয়ুমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রখেন জেলা সিপিবির সাবেক সভাপতি ওয়াজিউর রহমান র‌্যাফেল, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক রেবতী বর্মণ, মহিলা পরিষদের সম্পাদক রিক্তু প্রসাদ, আদিবাসী নেতা রিনা মার্ডি, ভিরজিলিউস হেমভ্রম, আসোলাম বোসদ প্রমুখ।

গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লী মাদারপুর গীর্জা প্রাঙ্গণে একই কর্মসূচি পালিত হয়।