মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান স্টেশন মাস্টার (কন্ট্রোল) এটিএম মুছা।
মুছা সাংবাদিকদের বলেন, কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেলা ১২টা ৩৫ মিনিটে নরসিংদী স্টেশন অতিক্রম করার কথা থাকলেও তা বেলা ২টা ৪ মিনিটে অতিক্রম করে।
এদিকে ট্রেনটিতে মাদকদ্রব্য বিরোধী অভিযান চালানোর জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নরসিংদী সার্কেল জেলা প্রশাসক বরাবর একইদিন একটি আবেদন করেন বলে জানান তিনি।
“ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে ট্রেনটি থামানোর জন্য স্টেশন মাস্টারকে নির্দেশ দেন।”
মুছা বলেন, কালনী এক্সপ্রেস ‘ঢাকা থেকে চলাচল নিয়ন্ত্রিত’ হয়ে থাকে বিধায় স্টেশন মাস্টার সফিকুল ইসলাম ট্রেনটি থামাননি।
“এতে সফিকুলকে ধরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যান ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা এবং জেলা প্রশাসকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসারদের সঙ্গে বসিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তার ছবি তোলেন।”
এ সময় ঢাকা চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান মুছা।
মুছা আরও বলেন, প্রায় ২ ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ৩টায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশে প্রশাসনের এক ‘সিনিয়র সহকারী কমিশনার’ নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে সহকারী স্টিশন মাস্টারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নরসিংদী সার্কেলের উপ-পরিচালক মো. মজিবুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ট্রেনটি থেকে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের জন্য নরসিংদীর জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছিল।
কিন্তু ট্রেনটি না থামানোয় তল্লাশি চালানো সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।