নাটোরে জামায়াত আমিরের ছেলে ছাত্রলীগের উপজেলা সভাপতি

নাটোরের সিংড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর পৌর আমিরের ছেলে খালিদ হাসান।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Dec 2016, 12:04 PM
Updated : 5 Dec 2016, 01:58 PM

জামায়াত নেতা রওশন আলীর ছেলে খালিদের আরেকটি পরিচয় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলকের ভাগ্নে।

সে কারণেই বাবা জামায়াতি নেতা হওয়ার পরও খালিদ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনটির সিংড়া উপজেলা শাখার সর্বোচ্চ পদটি পেলেন বলে স্থানীয় নেতারা বলছেন।

গত শনিবার সিংড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে খালিদ সভাপতি নির্বাচিত হন। ওই সম্মেলনে তথ‌্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীও স্থানীয় সংসদ সদস‌্য পলকও ছিলেন।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের উপস্থিতিতে সম্মেলনে নতুন কমিটি নির্বাচন করা হয়।

পৌরসভা ও গোল ই আফরোজ সরকারি কলেজের সম্মেলনও একই সঙ্গে হয়।

খালিদ হাসান সভাপতি হওয়ার ছাত্রলীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতা-কর্মী সমালোচনা করলেও নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু নেই বলে মনে করেন।

সিংড়ার চৌগ্রাম ইউনিয়নের এক ছাত্রলীগকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জামায়াতের এতবড় একজন নেতার ছেলেকে ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ নেতা বানানো ঠিক হয়নি।”

প্রতিমন্ত্রী পলকের বড় বোন হলেন খালিদের মা। খালিদ পড়াশোনা করেন ঢাকার আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর আগে তিনি বড় কোনো পদে ছিলেন না। পৌর ছাত্রলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের নেতার ভাগ্নে হওয়াটাই তার বড় যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয়েছে বলে মনে করেন ক্ষুব্ধ ওই ছাত্রলীগকর্মী। 

নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, খালিদ হাসান কাউন্সিলরদের ভোটে সিংড়া ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন।

“তার বাবা কোন দল করেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু নাই। তিনি ব্যক্তিগত যোগ্যতায় নেতা নির্বাচিত হয়েছেন।”

সম্মেলনে উপস্থিত নাটোর এনএস সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বুলবুল আহমেদ বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবেই খালিদকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে।

“তার বাবার পরিচয় জানা থাকলে যে কেউ এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পারেন। তবে সবকিছু নির্ভর করবে তার কর্মকাণ্ডের উপর।”

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।

প্রতিক্রিয়া জানার জন্য খালিদের বাবার মোবাইলেও কয়েকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।