এতে কারও হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি; লঞ্চের সব যাত্রী ও কর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের হারবারিয়া এলাকায় পেলিকেন-১ নামে ওই লঞ্চে আগুন লাগার খবর পান বলে জানান সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগুনের খবর পেয়ে বন বিভাগের পক্ষ থেকে ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাট, মংলা ও খুলনা ইউনিটের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
পরে বনবিভাগ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড কর্মীদের সহায়তায় রাত ১০টার দিকে আগুন পুরোপুরি নেভানো হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর একটি ইউনিট শেষ মুহূর্তে ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তাদের সহায়তার আর প্রয়োজন হয়নি বলে জানান বন কর্মকর্তা সাইদুল।
এর আগে রাত ৮টার দিকে লঞ্চের পর্যটক ও কর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলে জানিয়েছিলেন মংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. রাহাতুজ্জামান।
লঞ্চে মোট ২৬ জন পর্যটক ও ১৩ জন লঞ্চ কর্মী ছিলেন জানিয়ে ওই সময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আগুন নেভানোর কাজ চলছে। নৌবাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছে, পর্যটকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”
শুক্রবার সকালেই সুন্দরবন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পর্যটকবাহী লঞ্চটি চাঁদপাই রেঞ্জের হারবারিয়া ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা হয় বলে জানান ভ্রমনের আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন হলিডেজ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলের মালিক বাবু (পুরো নাম পাওয়া যায়নি)।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকালে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পর্যটকবাহী লঞ্চটি চাঁদপাই রেঞ্জের হারবারিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়।
“লঞ্চটি বনবিভাগের হারবারিয়া ক্যাম্প ঘাটে নোঙর করেছিল। সন্ধ্যায় ফেরতি যাত্রা শুরুর কথা থাকলেও আগুন লাগার সময় অধিকাংশ যাত্রী লঞ্চের বাইরেই ছিলেন। আগুনে লঞ্চের ২৮টি কেবিন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হননি।”
লঞ্চের ভেতর থাকা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও ইঞ্জিনের গোলযোগ থেকে আগুন লাগতে পারে প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়ার কথা জানান সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম।
তিনি জানান, আগুন লাগার সঠিক কারণ অনুসন্ধান করতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মেহেদী হাসানকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটির অন্যরা হলেন- চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন এবং হারবারিয়া ক্যাম্পের প্রধান কর্মকর্তা কামরুল হাসান।