একযুগ পর বুধবার খুলনার বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ হত্যা মামলার রায় দেন।
রায়ে ১১ জন আসামির মধ্যে নয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, দুজনকে দেওয়া হয় খালাস। এছাড়া দণ্ডিত প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
একইসঙ্গে এ ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক মামলার রায়ও ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ১০ আসামির সবাইকে খালাস দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মানিক সাহার ছোট ভাই প্রদীপ সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। এ মামলায় চার্জশিটে পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতাদের নাম আসেনি; যে কারণে তারা পার পেয়ে গেছে।”
তিনি তার ভাইয়ের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি হবে বলে আশা করেছিলেন বলে জানান।
খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন আদালত প্রাঙ্গণে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “রায়ে আমরা কেউ খুশি নই, কারণ আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।”
পরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন বলে জানান তিনি।
সাংবাদিক মানিক সাহার ঘনিষ্ঠজন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মল্লিক শুধাংশু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘোষিত রায়ে তিনি হতাশ হয়েছেন। মানিক সাহা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে তিনি প্রত্যাশ করেছিলেন, কিন্তু সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
মানিক সাহার ঘনিষ্ট বন্ধু খুলনা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যাপক সঞ্জীব দাস জানান, মানিক সাহার গ্রামের বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চালতেতলা গ্রামে। বর্তমানে তার স্ত্রী নন্দা সাহা খুলনা নগরীতে আহসান আহমেদ রোডের ন্যাশনাল টাওয়ারে বসবাস করেন।
নন্দা সাহা খুলনার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে বড় মিয়ে নাতাশা যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক পাশ করে সেখানে চাকরি করছেন। ছোট মেয়ে পর্শিয়াও যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক পড়ছেন।
মানিক সাহা কালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, কালিয়া মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং খুলনার মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন বলে জানান সঞ্জীব।