নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকা এবং তদারকির অভাবে স্টেডিয়ামের ভবন, মাঠ ও জমিতে ছিন্নমূল মানুষের বসবাসের পাশাপাশি নানা স্থাপনাও তৈরি হয়েছে।
প্রথমে ‘লালমোহন স্টেডিয়াম’ নামে এ প্রকল্পের যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে বিএনপি আমলে ‘বীর বিক্রম মেজর হাফিজ স্টেডিয়াম’ এবং সবশেষে বর্তমান সরকার আবার পরিবর্তন করে রাখে ‘শেখ রাসেল স্টেডিয়াম’।
এই স্টেডিয়ামের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের পাশে লালমোহন উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের কাছে ২০০১ সনে প্রায় চার একর জমির উপর প্রথমে লালমোহন স্টেডিয়াম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২০০৪ সনের ১ এপ্রিল স্থানীয় সাংসদ ও তৎকালীন পানিসম্পদ মন্ত্রীর নামানুসারে ‘বীর বিক্রম মেজর হাফিজ স্টেডিয়াম’ নামে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি নিজে। ওই সময় ভবন নির্মাণ ও বালি দিয়ে মাঠ ভরাটের কাজ হলেও বিএনপি সরকারের মেয়াদ শেষে কাজ আর এগোয়নি।
লালমোহন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সেক্রেটারি শাহ মো. জাহেদুল ইসলাম নবীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্টেডিয়ামটি এক যুগ যাবত পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। কাজ শেষ না হওয়ায় জায়গা বেদখল হয়ে যাচ্ছে।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুল আরিফ বলেন, ২০১৪ সনে লালমোহন স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে শেখ রাসেল স্টেডিয়াম করা হয়েছে। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া এটিকে আধুনিক স্টেডিয়ামের রূপান্তরের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পত্র দেওয়া হয়েছে।