তবে সংশ্লিষ্টরা তালিকা সংশোধনের দাবি করলেও সংশোধিত তালিকা দেখাতে পারেননি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেওয়ান মো. সারওয়ার জাহান স্বাক্ষরিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচকমণ্ডলীর (ভোটার) খসড়া তালিকা গত ১৮ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় সাধারণ ৪ নম্বর ওয়ার্ডে (পঞ্চগড় পৌরসভা, পঞ্চগড় সদর ও হাফিজাবাদ ইউনিয়ন) ৩১ নম্বর ভোটার হিসেবে সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত সদস্য অলিয়ার রহমানের নাম রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাচন অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, নিয়ম অনুযায়ী চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরই কোনো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সে হিসেবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকাতেও মৃত ব্যক্তির নাম রয়েছে।
তবে সেটি সংশোধনযোগ্য বলে জানান তিনি।
ওই ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আব্দুল হালিম প্রধান বলেন, “অলিয়ার রহমান গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি মারা যান। একই বছরের ২৫ মে অনুষ্ঠিত উপ নির্বাচনে আমি সদস্য নির্বাচিত হই।
“৯ জুন আমাকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশিত হয়। পরে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে শপথ নিই।”
ছিটমহল সংযুক্ত হওয়ায় গত ৩১ অক্টোবর হাফিজাবাদ ইউনিয়নে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ওই ওয়ার্ডে আব্দুর রহিম বাদশা নতুন সদস্য নির্বাচিত হন বলে জানান তিনি।
হালিম প্রধান বলেন, “নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশ হলেও তারা শপথ নেননি বলে পূর্বের পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদেরই ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। এ হিসেবে আমার নামটি তালিকায় থাকার কথা। কিন্তু রয়েছে মৃত অলিয়ার রহমানের নাম।”
তিনি বলেন, “বিষয়টি নির্বাচন অফিসে জানাতে গেলে তারা বলেছে তালিকা সংশোধনের জন্য কোনো লিখিত আবেদন দিতে হবে না। এমনিতেই না কি সংশোধন করে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
তবে তিনি কোনো তালিকা পাননি বলে জানান।
জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, কোনো কারণে এ ধরনের ভুল হয়তো হয়েছে। নজরে আসার পরপরই সংশ্লিষ্টদের তা সংশোধন করতে বলা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেওয়ান মো. সারওয়ার জাহান বলেন, তালিকাটি ইতোমধ্যে সংশোধন করা হয়েছে।
তবে সংশোধিত তালিকা দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এ প্রতিনিধিকে।
ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী আগামী ১ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ সময়। আর ২৮ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারিত রয়েছে।