বুধবার সকালে বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক শেষে সাংবাদিকেদের এ কথা জানান বিজিবির দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান।
ফরিদ হাসান বলেন, দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে নিয়মিত সৌজন্য বিনিময়ের অংশ হিসেবে পতাকা বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
“বৈঠকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিরাপত্তা চৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার পর সেনা বাহিনীর অভিযানের মুখে পালাতে থাকা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ চেষ্টার বিষয়টি তুলে ধরা হলে বিজিপি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায়।”
এছাড়া জলসীমার শূন্যরেখা থেকে ট্রলারসহ ধরে নিয়ে যাওয়া ১২ বাংলাদেশি জেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও আলোচনা হয় বলে জানান তিনি।
অপরদিকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা ঘটনার পর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালিয়ে আসা দুই রোহিঙ্গাকে ফেরত দেয়ায় বিজিবির প্রশংসা করেছেন বলে জানান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ফরিদ হাসান।
অনুপ্রবেশ বন্ধ ছাড়াও উভয় দেশের সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা ও অস্ত্র পাচার, চোরাচালানসহ সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বন্ধেও সম্মতি প্রকাশ করেছে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী।
পতাকা বৈঠকে মিয়ানমারের পক্ষে ৩১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বর্ডার গার্ড পুলিশের মংডু কমান্ডিং অফিসের কমান্ডার পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরা সান লিউ।
আর বাংলাদেশের ২৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান।
বৈঠকে যোগ দিতে বিজিপির প্রতিনিধি দল বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন বিজিবির রেস্ট হাউজে পৌঁছায়। বৈঠক শেষে বেলা সাড়ে ৩টায় প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেয়।