বুধবার ভাতুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ‘পকেট’ কমিটির সভাপতি সামসুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে হরিপুর থানার ওসি রুহুল কুদ্দুস জানান।
মামলায় ৬১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৬০/৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর দবিরুল ইসলাম ভাতুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পুরনো কমিটির ১৩ জনকে বাদ দিয়ে সহ সভাপতি সামসুল আলমকে সভাপতি এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি করে দেন।
সোমবার বিকালে সাংসদের করে দেওয়া নতুন কমিটি নিজেদের কার্যালয়ের সামনে জনসভার আয়োজন করে।সেখানে দবিরুল ইসলামের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। পরে সভা মঞ্চে ভাংচুর চালানো হয়।
সামসুল আলমের অভিযোগ করেছিলেন, জনসভা বানচাল করতে পুরনো কমিটির অব্যাহতি পাওয়া ১৩ জনসহ ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা, ধারাল অস্ত্র নিয়ে এসে সভামঞ্চ ভাংচুর করে।
তিনি বলেন, “এগুলো জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিশেষ শ্রেণি, যাদের পিতারা মুসলিম লীগের ছিল, অথবা রাজাকার ছিল। অথবা জামায়াত ইসলাম করত।
“তারাই চোর ডাকাত হাবিজাবি লোকজন দিয়ে এগুলো করেছে।”
পকেট কমিটি গঠনের কথা অস্বীকার করে দবিরুল বলেন, “বিভিন্ন সংবাদপত্রে নতুন কমিটি নিয়ে যা ছাপানো হয়েছে সেটা মোটেই ঠিক না। গত ইউপি নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে কাজ করায় ইউনিয়ন কমিটি সভা ডেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব দিয়েছে।
ওই সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন না এবং ওই ঘটনার তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও দাবি করেন।