দলের দ্বিতীয় পদে আসায় শনিবার বিকালে নোয়াখালী জিলা স্কুল মাঠে তাকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।পরে সেখানে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমার মরহুম পিতার কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, তার রাজনীতি ও মানুষের প্রতি ভালোবাসার কথা শুনতে শুনতে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমার ৪০ বছরের রাজনীতির জীবনের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমার নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
“তিনিই আমার অভিভাবক। আামাকে দলের সাধারণ সম্পাদক করে সারাদেশের নেতাকর্মীদের কাছে তিনি বার্তা দিয়েছেন রাজনীতিতে কোনো ত্যাগ বৃথা যায় না।”
নিজ জেলায় দেওয়া সংবর্ধনার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “মানুষের যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি তার চেয়ে বড় আর কোনো সংবর্ধনা হতে পারে না।”
এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের কলহ-কোন্দল মিটিয়ে ফেলারও নির্দেশ দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দল করলে দলের নিয়ম শৃঙ্খলা মানতে হবে। তা না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে
নীতির প্রশ্নে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, সংশোধন হয়ে যান তা না হলে খবর আছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিমের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী ।
এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এনামুল হক শামীম, খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপমন্ত্রী মির্জা আজম, মামুনুর রশিদ কিরণ, এএইচ এম ইব্রাহিম, মোরর্শেদ আলম, আয়েশা ফেরদৌস প্রমুখ।