উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তিতাস রহমান বাবুর বাড়িতে বুধবার সন্ধ্যা থেকে মেয়েটি অবস্থান নেয় বলে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহেদুজ্জামান বুলেট জানান।
ঘটনার পর থেকে ইউপি সদস্য তিতাসকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউপি সদস্য তিতাসের বাড়িতে গিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এ প্রতিনিধি দেখেন তার ঘরের দজার সামনে কীটনাশকের বোতল হাতে নিয়ে একটি চেয়ারে বসে রয়েছেন ওই কলেজছাত্রী (২২)।
নীলফামারী সরকারি কলেজের ওই ছাত্রী বলেন, দেড় বছর আগে মোবাইল ফোনে তিতাসের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তিতাস এখন নানা অজুহাত দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “বুধবার দুপুরে লোকমুখে খবর পাই তিতাসের বিয়ের কথা চলছে। রাতে তাকে মেয়ে পক্ষ দেখতে আসবে।
“এ খবরে বুধবার সন্ধ্যায় ওই ইউপি সদস্যের বাড়িতে এসে তার বাবা-মাকে সর্ম্পকের বিষয়টি জানাই। কিন্তু তারা উল্টো আমাকে অপমান করেন।”
ইউপি সদস্য তিতাস তাকে বিয়ে না করলে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন ওই ছাত্রী।
এ বিষয়ে তিতাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বেশ কয়েক বার তার মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এ প্রতিনিধি।
তবে তার বাবা মশিউর রহমান বলেন, “ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। কারও সঙ্গে তার কোনো প্রেমের সর্ম্পক নেই।”
মেয়েটি মিথ্যা দাবি নিয়ে তার ছেলের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে প্রথমে বামুনিয়া ইউপির চেয়ারম্যানকে মৌখিক এবং বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডোমার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান মশিউর রহমান।
ওয়াহেদুজ্জামান বুলেটে বলেন, “খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালেই ইউপি সদস্যর বাসায় গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে কীটনাশক ভর্র্তি বোতল উদ্ধার করেছি। মেয়েটি অবস্থান নেওয়ার পর থেকেই তিতাস গা ঢাকা দিয়েছেন। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাচ্ছি।
“বিষয়টি সমাধানের জন্য পাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে খবর দিয়েছি। তিনি এলে বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
ডোমার থানার ওসি আহমেদ রাজিউর রহমান বলেন, “লোকমুখে শুনেছি ইউপি সদস্যের বাড়িতে একটি মেয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নিয়েছে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।”
অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।